স্থান: জাতীয়
প্রেসক্লাব
ভি,আই,পি
লাউঞ্জ।
তারিখ: ২৫/০৯/২০১৭
আসসালামু আলাইকুম
ওয়ারাহমাতুল্লাহ
মুহতারাম,
ওলামায়ে কেরাম,
সূধীজন
ও
সাংবাদিক
ভায়েরা
আজকের এই
গোলটেবিল
বৈঠকে
অংশগ্রহনকারী
সন্মানীত
বিজ্ঞ
মেহমানবৃন্দ
এবং
সাংবাদিক
ভাইয়েরা।
এই
গোলটেবিল
বৈঠকের
আয়োজক
বাংলাদেশ
খেলাফত
আন্দোলনের
পক্ষ
থেকে
সবাইকে
স্বাগতম।
রোহিঙ্গা
সংকট
সমাধাণের
জন্য
আপনারা
আপনাদের
চিন্তা
ও
ব্যাখ্যা
তুলে
ধরবেন।
আল্লাহ
তায়ালা
আমাদেরকে
পরামর্শ
করে
পদক্ষেপ
নিতে
বলেছেন।
আমাদের
নবী
হযরত
মুহাম্মদ
(সাঃ)
বলেছেন,
মুসলমান
শাসনাধীন
এলাকায়
বসবাসকারী
অমুসলমানরা
যদি
মজলুম
হয়
তাহলে
কেয়ামতের
শেষ
বিচারের
দিন
নবী
সাঃ
অমুসলমানদের
পক্ষে
উকীল
হবেন।
ফলে
ধার্মিক
মুসলমান
ন্যায়পরায়ণতা
ও
ইনসাফের
পথে
চলতে
বাধ্য।
আমার আব্বাজান
হযরত
মওলানা
মোহাম্মাদুল্লাহ
হাফেজ্জী
হুজুর
(রহঃ)
সকল
মানুষকেই
একই
পিতা-মাতা
হযরত
আদম
(আঃ)
ও
মা
হাওয়া
(আঃ)
এর
বংশধর
হিসাবে
গন্য
করে
অমুসলমানদেরকেও
খান্দানী
ভাই
হিসাবে
গন্য
করতে
বলেছেন।
আমরা এই নীতি
মেনে
চলার
চেষ্টা
করি।
পৃথিবী
সকল
জাতিই
যদি
এসব
উত্তম
নীতি
ও
আদর্শ
মেনে
চলি
তাহলে
পৃথিবীতে
শান্তি
ও
ইনসাফ
কায়েম
হবে
ও
বজায়
থাকবে।
সন্মানীত সুধী,
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা
আন্তর্জাতিক
ভাবে
স্বীকৃত
অধিকার।
বাংলাদেশের
প্রতিবেশী
দেশ
মিয়ানমার
সরকার
সে
দেশের
মুসলিম
সংখ্যালঘু
রোহিঙ্গাদেরকে
সমূলে
উচ্ছেদের
জন্য
নাগরিকত্ব
আইন
পরিবর্তন
করেছে।
সংখ্যাগুরু
বৌদ্ধ
সম্প্রদায়ের
ধর্মগুরুরা
নিরাপত্তাবাহিনীর
সাথে
একাত্ম
হয়ে
আরাকানের
হাজার
হাজার
নিরীহ
নিরপরাধ
রোহিঙ্গা
মুসলমানদেরকে
গণহত্যা
ও
নিপীড়ন-নির্যাতন
করছে,
গ্রামের
পর
গ্রাম,
মসজিদ-মাদরাসা
ও
কুরআন-হাদিস
আগুন
দিয়ে
জ¦ালিয়ে
দিচ্ছে।
মিয়ানমারে
নিরপরাধ
শিশু-বৃদ্ধসহ
অসংখ
নারী-পুরুষের
লাশ
নাফ
নদীতে
ভাসছে।
আরাকানে
রোহিঙ্গাদের
উপর
এত
জুলুম
করা
হচ্ছে
যা
ভাষায়
বর্ণনা
করা
যায়
না।
আরাকান একটি
স্বাধীণ
রাজ্য
ছিল।
মুসলিম
জনগোষ্ঠি
আরাকানের
অবিচ্ছেদ্য
অংশ।
১৭৮৪
সালে
আরাকান
রাজ্য
যুদ্ধে
পরাজিত
হলে
বার্মার
দখলে
যায়।
বার্মার
সৈন্যদের
জুলুম
অত্যাচারে
আরাকানের
বহু
মুসলমান
ও
বৌদ্ধ
সংলগ্ন
বাংলাদেশে
আশ্রয়
নেয়।
বৃটিশের
কাছে
বার্মা
যুদ্ধে
পরাজিত
হওয়ার
পর
অধিকাংশ
আরাকানী
মুসলমান
আরাকানে
ফিরে
যায়।
এটা
ঐতিহাসিক
সত্য।
রোহিঙ্গা
মুসলমানরা
জন্ম
সূত্রে
সে
দেশের
নাগরিক।
তাদের
জান-মালের
নিরাপত্তা,
বাসস্থানসহ
সকল
অধিকার
তাদের
ন্যায্য
পাওনা।
এভাবে
রোহিঙ্গা
মুসলমানদের
উপর
হত্যাযজ্ঞ
চালিয়ে
ও
দেশান্তর
করে মিয়ানমার সরকার
জাতীয়
ও
আন্তর্জাতিক
সকল
আইন
ও
মানবাধিকার
লঙ্গন
করছে।
সম্মানীত ভায়েরা
মিয়ানমার সেনাবাহিনী
কর্তৃক
নিরীহ
রোহিঙ্গা
মুসলিম
নারী-শিশু নির্বিশেষে বর্বর
নৃসংশ
হত্যাযজ্ঞ
পৃথিবীর
ইতিহাসের
সকল
বর্বরতাকে
হার
মানিয়েছে।
নতজানু
হয়ে
এ
হত্যাযজ্ঞ
বন্ধ
করা
যাবে
না।
রোহিঙ্গা
মুসলিম
রক্ষা
এবং
মিয়ানমারের
রাষ্ট্রীয়
সন্ত্রাস
বন্ধে
বাধ্য
করতে
মিয়ানমার
সরকারের
সাথে
কুটনৈতিক
সম্পর্ক
ছিন্ন
এবং
অর্থনৈতিক
অবরোধ
আরোপ
করার
জন্য
জাতিসংঘ,
ওআইসিসহ
সকল
মুসলিম
রাষ্ট্র
প্রধানদের
ভুমিকা
রাখতে
হবে।
বাংলাদেশসহ
সকল
মুসলিম
দেশ
থেকে
মিয়ানমারের
রাষ্ট্রদুতকে
বহিস্কার
করতে
হবে।
আমরা
আজকের
এ
বৈঠক
থেকে
রোহিঙ্গাদের
রক্ষায়
মুসলিম নেতৃবৃন্দসহ
জাতিসংঘ,
ওআইসি,
ন্যাম,
আসিয়ান
ও
সার্কসহ
সকল
আন্তর্জাতিক
মহলকে
এগিয়ে
আসার
আহবান
জানাই।
আরকানের রোহিঙ্গারা
যাতে
তাদের
নিজ
মাতৃভূমিতে
সম্মান
ও
নিরাপত্তার
সাথে
ফিরে
যেতে
পারেন
ও
বসবাস
করতে
পারেন
সে
জন্য
স্বাধীন
রাষ্ট্র
প্রতিষ্ঠার
কর্যকর
ব্যবস্থা
নিতে
হবে।
আল্লাহর
কাছে
প্রার্থনা
করি
এবং
এ
জন্য
আমাদের
যা
করনীয়
তা
করার
বুদ্ধি-কৌশল
ও
তৌফিক
আল্লাহর
কাছে
চাই।
আরাকানের
ভিতরে
এখনো
যেসব
রোহিঙ্গা
প্রাণভয়ে
রয়েছেন
তাদের
নিরাপত্তার
জন্যও
আল্লাাহর
কাছে
প্রার্থনা
করি
ও
উপায়
বের
করি।
রোহিঙ্গা
মুসলমানদের
রক্ষায়
বাংলাদেশে
অবস্থানরত
অসহায়
রোহিঙ্গাদের
সাহায্যের
পাশা-পাশি
মিয়ানমারে
অব্যাহত
গণহত্যা
বন্ধে
একদল
জানবাজ
যুদ্ধা
প্রতিরোধে
ঝাপিয়ে
পরতে
হবে।
এবং
রোহিঙ্গা
মুসলমানদের
জন্য
আরাকানকে
স্বাধীন
রাষ্ট্র
প্রতিষ্ঠার
কর্যকর
ব্যবস্থা
নিতে
হবে।
আমরা সবাই
মিলে
চাইলে
ও
চেষ্টা
করলে
আল্লাহ
উপায়
ও
উপকরণ
দেবেন
ইনশাআল্লাহ।
আপনাদের সবাইকে
আজকের
এই
গোলটেবিল
বৈঠকে
উপস্থিত
হওয়ায়
আবারো
মুবরকবাদ
জানাই।
ওয়াসসালাম
মাওলানা শাহ
আতাউল্লাহ
ইবনে
হাফেজ্জী
হুজুর
আমীরে শরীয়ত
বাংলাদেশ খেলাফত
আন্দোলন