Powered By Blogger

Wednesday, May 8, 2013

হাটহাজারী ৭ই মে ২০১৩ হেফাজতের ব্রিফিং সকালে চলে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়ার পরও সরকার পরিকল্পিতভাবে গণহত্যা চালায় : সহিংসতা ও কোরআন পুড়িয়েছে সরকারি দলের কর্মীরা


 হেফাজতের ব্রিফিং : মহাসচিবসহ নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি : সকালে চলে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়ার পরও সরকার পরিকল্পিতভাবে গণহত্যা চালায় : সহিংসতা ও কোরআন পুড়িয়েছে সরকারি দলের কর্মীরা

সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় হাটহাজারী মাদরাসায় গতকাল বিকালে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন নেতারা। জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের আমিরের পক্ষে কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।

হাটহাজারী ৭ই মে ২০১৩



লিখিত বক্তব্যে মাওলানা আশরাফ আলী, আমিরের পক্ষে:

আমরা এমন এক সময় আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি, যখন এদেশের আলেম সমাজ ইতিহাসের এক নিষ্ঠুরতম নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার। এমন নিষ্ঠুরতম পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশে এর আগে আর ঘটেছে বলে আমাদের জানা নেই। এদেশের নিরীহ আলেম ও ধর্মপ্রাণ মানুষের রক্তের দাগ এখনও রাজপথে লেগে আছে, লাশ পড়ে আছে হাসপাতালে মর্গে, অজানা স্থানে। মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ভালোবাসার টানে ঘর থেকে বের হওয়া হাজার হাজার নিরীহ ধর্মপ্রাণ মানুষ এখনও ঘরে ফেরেনি। তারা কোথায়, কি অবস্থায় আছেন, জীবিত আছেন কি না আমরা কিছুই জানতে পারছি না। এক চরম বিভীষিকাময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দেশ অতিক্রম করছে। এমন ভয়াবহ ভীবত্সতা যুদ্ধবাস্থাকেও হার মানিয়েছে।


রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বর এলাকায় ৫ মে রাতে ঘুমন্ত, জিকিররত নিরীহ নিরস্ত্র লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ আলেম-ওলামার ওপর সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশের মুসলমান নামধারী সরকার রাতের আঁধারে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও দলীয় সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে নৃশংস নির্মম, বর্বর অমানবিক হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। সেখানে কত লোক শহীদ হয়েছেন সেই পরিসংখ্যান যাতে না পাওয়া যায়, সেজন্য সঙ্গে সঙ্গেই লাশ গুম করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনামতে, ট্রাকভর্তি করে লাশ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই লাশের সংখ্যা আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার পর্যন্ত হতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন। সেখান থেকে আলামত দ্রুত সরিয়ে নেয়া হয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে আহত করা হয়েছে। আলেমদের বেইজ্জতি করে ঢাকা থেকে বের হতে বাধ্য করা হয়েছে। আমাদের রাজধানীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দেয়া হয়নি। হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা বাবুনগরীকে গ্রেফতার করে নির্যাতন করা হচ্ছে। অন্য শত শত আলেমকে গ্রেফতার করার জন্য মিথ্যা মামলা করা হচ্ছে।


 তার আগে ৫ মে দুপুর থেকেও গুলিস্তান, পল্টন, বায়তুল মোকাররম, বিজয়নগর, দৈনিক বাংলার মোড় এলাকায় বিনা উসকানিতে পুলিশ ও সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা শাপলা চত্বরগামী মিছিলের ওপর হামলা ও সরাসরি খুঁজে খুঁজে গুলিবর্ষণ করে অসংখ্য লোককে হত্যা ও আহত করেছে। যা টেলিভিশনের মাধ্যমে দেশ-বিদেশের মানুষ সরাসরি দেখেছে। তারা সেখানে ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে চরম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। পরে তা হেফাজতে ইসলামের ওপর দায় চাপানো অপচেষ্টা চালায়।


আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, যার সামান্যতম ঈমান আছে, পরকালে বিশ্বাস আছে, আল্লাহর দরবারে জবাবদিহি করার ভয় আছে, বিবেক ও মানবিক বোধ আছে, দেশের মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ আছে, গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস আছেআলেমদের ওপর এমন নিষ্ঠুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের মতো কাজ সে করতে পারে না।

  ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে মুসলমান শাসকের হাতে অরাজনৈতিক ঈমানী আন্দোলরত সংগঠনের একটি শান্তিপূর্ণ অবরোধ ও অবস্থান কর্মসূচিতে এভাবে পাখির মতো মানুষ হত্যার ঘটনা ইতিহাসে এক নজিরবিহীন কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়েই শুধু থাকবে না, বিনা কারণে এ গণহত্যা বিশ্ব রেকর্ড হিসেবেও ইতিহাসে লাল অক্ষরে লেখা থাকবে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান মহাজোট সরকার অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায় কয়েক ঘণ্টা ধরে পরিকল্পনা নিয়ে ভারী অস্ত্র নিয়ে রাস্তার আলো নিভিয়ে বর্বরতম এ হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। এ নিষ্ঠুর নির্মম অমানবিক ঘটনার নিন্দা জানানোর কোনো ভাষা আমাদের নেই। আমরা দেশবাসীর বিবেকের ওপর এবং সর্বোপরি মহান আল্লাহ পাকের ওপর এর বিচারের ভার ছেড়ে দিলাম।


আমরা ১৩ দফা দাবি সরকারের কাছে পেশ করে সরকারকে সময় দিয়েছিলাম। কিন্তু সরকার মুসলমানদের ঈমান আকীদা সম্পর্কিত এ ১৩ দফা বাস্তবায়নের ব্যাপারে কোনো আশ্বাস পর্যন্ত দেয়নি। বরং তাদের অনেকে এ ১৩ দফা বাস্তবায়ন করাকে মধ্যযুগে ফিরে যাওয়া, সংবিধানবিরোধী ইত্যাদি আখ্যায়িত করে উপহাস পর্যন্ত করেছে। আমরা ১৩ দফার ব্যাখ্যা দিয়েছি। আইনি ব্যাখ্যাও সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে পাঠিয়েছি। সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাবির দফাভিত্তিক ব্যাখ্যা দিয়ে সবগুলো দাবি কৌশলে প্রত্যাখ্যান করেন। আমরা পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়ে দাবি আদায়ে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার ব্যাপারে সরকারকে হুশিয়ার করেছি। সরকার আমাদের দাবির প্রতি কর্ণপাত করেনি।





সমাবেশ চলাকালীন সরকারি দলের সন্ত্রাসী কখনও স্বরূপে, কখনও হেফাজত কর্মী সেজে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করতে থাকে। তাদের হামলায় রাস্তায় সাধারণ মুসল্লিদের লাশ পড়ে থাকে। উদ্ধার করতে যাওয়ার জন্য সাহস করছিল না কেউ। ফলে স্বাভাবিক কারণে সমাবেশে অংশ নেয়া লাখ লাখ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।


 হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতাকে সমাবেশস্থলে কর্মসূচি ঘোষণা করে সন্ধ্যার মধ্যেই সমাবেশ শেষ করার সুযোগ দেয়া হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থানের ঘোষণা দিয়ে সরকারকে অন্যপ্রান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানাই।


 কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারি বাহিনী সন্ধ্যার পর আরও ভয়াবহ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে শুরু করে। এরমধ্যেও আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, যে করেই হোক সকালে সমাবেশস্থলে গিয়ে দোয়ার মাধ্যমে সমাবেশ শেষ করে দেব। আমাদের এই ইচ্ছের কথা প্রশাসনের লোকজনকেও বার বার অবহিত করা হয়।


 কিন্তু আমাদের কোনো কথায় কর্ণপাত না করে নজিরবিহীনভাবে আগ্রাসী তত্পরতা চালানোয় উদ্ভূত ঘটনা আমাদের কাছে অত্যন্ত পরিকল্পিত ও উসকানিমূলক মনে হচ্ছে। আমাদের কাছে মনে হচ্ছে, আমাদের শাপলা চত্বরে সমাবেশের অনুমতি দেয়া, তারপর অন্যপ্রান্তে হামলা করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে, সরকারি দলের নেতার পক্ষ থেকে দুই দফায় সংবাদ সম্মেলন করে আমাদের সরে যাওয়ার আলটিমেটাম দেয়া এবং রাতে আমাদের সমাবেশের ওপর হত্যাকাণ্ড চালানোর পুরো ঘটনাই সরকারের পূর্বপরিকল্পিত। সরকার কী উদ্দেশ্যে আমাদের মতো শান্তিপ্রিয় অরাজনৈতিক মানুষগুলোকে মজলুমে পরিণত করল আমরা জানি না।

এদেশের আলেম সমাজ ধর্মপ্রাণ মানুষ শান্তিপ্রিয়। তারা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ঈমানী দাবি আদায়ে বদ্ধপরিকর। হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবি এদেশের ১৬ কোটি তৌহিদি জনতার দাবি। ৬ এপ্রিলে লংমার্চ, ৫ মে ঢাকা অবরোধ কর্মসূচিতে লাখ লাখ লোকের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এটা পরিষ্কার হয়েছে, এই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আলেমসমাজ ঘরে ফিরে যাবে না। সরকার আমাদের আর বের হতে না দেয়ার হুমকি দিয়েছে। কোনো গণতান্ত্রিক সভ্য সমাজে জনগণের দাবি-দাওয়ার আন্দোলনকারীদের এভাবে হুমকি দেয়ার নজির নেই।

 সরকার হেফাজতের খবর প্রচার করার অপরাধে সর্বশেষ জনপ্রিয় দুটি টেলিভিশন চ্যানেলকে বন্ধ করে দিয়েছে। অন্যান্য গণমাধ্যম আমাদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক খবর প্রচার করছে।
আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, সরকার তার মনোভাব ও অবস্থান পরিবর্তন না করলে তাদের কী পরিণতি হবে আমরা জানি না। কারণ দেশের অধিকাংশ মানুষকে এভাবে দমন করে জোর করে কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারেনি, এই সরকারও পারবে না। আলেম সমাজ রাজনীতি করে না। কাউকে ক্ষমতায় বসানো বা নামানোর জন্য আলেমদের আন্দোলন নয়।


 আমরা সরকারকে সর্বশেষ সুযোগ দিয়ে বলতে চাই, আমাদের হাজার হাজার লোককে শহীদ করেছেন। হাজার হাজার লোককে আহত করেছেন। আমাদের হত্যা করে, উল্টো আমাদের ওপর মামলা দেয়ার চেষ্টা করছে। এ পথ পরিহার করুন। দ্রুত আলেম সমাজের কাছে ক্ষমা চান, নিহত আহতদের পরিসংখ্যান দিয়ে তাদের দাফন কাফনের ব্যবস্থা করুন। আহতদের চিকিত্সার ব্যবস্থা করুন। মামলা প্রত্যাহার করুন। হেফাজতে ইসলাম মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি, অবিলম্বে হেফাজত মহাসচিবসহ সব নেতাকর্মী নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করুন। হেফাজতের বিরুদ্ধে সব অপপ্রচার বন্ধ করুন। রাস্তার পাশের শত শত গরিব মানুষের দোকানে এবং বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকে তারা আগুন লাগিয়ে ও লুটপাট করে হেফাজতের ওপর দোষ চাপায়। যা বিভিন্ন মিডিয়ায় সচিত্র প্রকাশিত হয়েছে। আমরা এ অন্যায় অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানাই।

 এ হত্যাযজ্ঞের বিষয়টি তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করুন। দ্রুত আমাদের ১৩ দফা দাবি মেনে নিন। না হয় তৌহিদি জনতার মধ্যে যে তীব্র ক্ষোভের দানা বেধেছে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি দিয়ে বেশিদিন দমিয়ে রাখতে পারবেন না। সারাদেশে এর ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটবে, ইনশাআল্লাহ।

=0=

 সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন হেফাজতের সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ শামসুল আলম, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা লোকমান হাকিম, এমএ তাহের, কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা সালাহ উদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ তৈয়্যব, মাওলানা আবু তাহের আরবী, মাওলানা হাবীবুল্লাহ, মাওলানা নূরুল ইসলাম, মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফতেপুরী, মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির, মাওলানা জাহাঙ্গীর মেহেদী, মাওলানা ইয়াসীন, মাওলানা আলমগীর, মাওলানা এমরান প্রমুখ।

Hathazari 7th May, 2013. HEFAZAT-E-ISLAM PRESS CONFERENCE IN ITS CENTRAL OFFICE AT HATHAZARI

Press Briefing by Hefazat-e-Islam, Maulana Ashraf Ali on behalf of Amir saheb

*Demand to release all leaders and workers including the Secretary General

*Government perpetrated the Genocide in a pre-planned way despite assurance from Hefazat to vacate Motijheel by next morning

*Ruling Party Hooligans with the support of the law enforcing agencies committed violance  and burnt shops and businesses and burnt the Holy Quran and religious books in a pre-planned way and propagated lies to malign the image of Hefazat
 

Hathazari 7th May, 2013.

Hefazat-E-Islam has called for country-wide dawn-to-dusk hartal on 12 May protesting the genocide carried out on the Muslim scholars and the masses supporting them at Motijheel Shapla Chattar (Circle) by the government forces.
 

The Press Conference was called in the central office of Hefazat-e-Islam at Hathazari, Chittagong, Bangladesh.

 
 In the jam-packed press conference, Maulana Ashraf Ali Nizampuri, the Central Literary Secretary, briefed the journalists on behalf of the Amir of Hefazat-E-Islam.
 

In the press briefing, he spoke about the genocide perpetrated by the government on the Alims (Muslim Scholars) and the mass people supporting them during the night on Sunday.
 

He complained that despite the commitment given, time and again, to the government that they would leave the Motijheel Shapla Chattar the next morning, the government carried out the genocide during night in a pre-planned way.

 

In the written statement, Maulana Ashraf Ali said:

“We are speaking before you at such a time when the Alim Community and the masses of this country supporting them have become subjected to the cruelest killing of the history.  It’s not known to us whether any other such cruelest pre-planned mass killing has ever been perpetrated in Bangladesh. Corpses of naïve Alims and religious-minded people are still lying in hospital morgues and in unknown places, with the roads stained with their bloods. Hundreds of thousands of innocent religious people out from their houses in the love of Allah SWT and His prophet (SAW) are yet to be back to their home. We are not in a position to know, where they are now, how they are, and whether they are still alive or not. The country is passing through an inexplicably fearful situation. This hellishness has defeated even the wartime situations.

 

The so-called Muslim government of a country majority of which are Muslims, have conducted, in the darkness of night on May 6, cruel, barbarous and inhuman killing in the Shapla Chattar arena of Motijheel in the capital, with the help of police, RAB, BGB and their party cadres, on those innocent, unarmed  hundreds of thousands of civilians when they were either asleep or were in Zikr (Remember Allah SWT). The corpses have immediately been taken away lest the world should not know how many people had actually been killed in that operation. Eye witnesses say, corpses have been removed and transported to unknown destination by municipal garbage trucks, transport tucks, covered vans, pickup all loaded with corpses. Many apprehend, the number of corpses can rise from 2500 to 3000. Materials of proof have been removed quickly from the place of genocide. Thousands and thousands of people have been wounded. The honorable Islamic scholars and their supporting masses have been humiliated and tortured, have been forced to leave Dhaka.  We were not allowed to speak to the press in the capital. Allama Babunagari, the Secretary General of Hefazat-E-Islam, is being tortured after arrest. False cases are being lodged in a bid to arrest hundreds of Alims.

 

Since noon on May 5, police and the hooligans of the ruling party operating in Gulistan, Paltan, Baitul Mukarram, Bijoynagar, Dainik Bangla Circle area of Dhaka attacked Shapla-Chattar-bound processions and killed and wounded numerous people without any provocation. Viewers at home and abroad observed that live through television. They created deadly anarchy through vandalism and arson and tried, in vain, to father those on Hefazat-E-Islam.

 

We want to iterate in clear terms that anyone having Iman (Faith) who has Faith in Life Hereafter, who fears about accountability to Allah SWT, who have sensibility and human feelings, who have sense of responsibility to the people of the country and has respect for democracy can in no way perpetrate such cruel killings of the Islamic Clergies and their supporting masses.

 

It was an incident of horrible mass killing, shooting at people like game birds by the forces of Muslim ruler during peaceful sit-in program of a non-political party, fighting for religious rights, in a country where  90 percent of the population are Muslims. It will not only remain as a calumnious episode in the annals of history, this will also be written in red letter as world record for genocide without any provocation. The Mohazot Alliance Government led by Awami League, pre-planned very coolly for hours, and then came down on the  streets, switched off the road lights, and conducted this heinous killings with heavy weapons. We have lost all our languages to condemn this cruel, heartless and inhuman episode.  We leave it to the conscience of the countrymen, and, on top of everything, to Allah Rabbul Alamin for justice.

 

We submitted our 13-point demand to the government and gave them enough time to decide. But the government gave us even no indication that they want to discuss with us about the 13-point demand which is mainly related to our Religious Rights and Faith. Rather many of them, terming 13 points as against the Constitution, had stigmatized that its implementation would tantamount to going back to the middle age. We explained our 13 points in writing and explained its legal implications and duly sent to the highest authority of the government. At the end, the Prime Minister explained our demand point-wise, and rejected all the demands tactfully. Therefore, as per earlier declaration we went for our peaceful programs and warned government before we go tough for getting our demands fulfilled. The government turned deaf to our demands.

 

When the program was running, the hooligans of the ruling party started vandalism and arson, sometime in their own face and sometime in the disguise of Hefazat supporters.   The ruling party hooligans protected by police attacked Hefazat supporters and ordinary Muslims who appeared to be Hefazat supporter. Nobody dared to move forward to rescue victims. As a natural consequence, the hundreds of thousands of common people taking part in the Hefazat congregation got angry.

 

The top leader of Hefazat-E-Islam (Hazrat Allama Ahmad Shafi) was obstructed by police from attending and closing the congregation before sunset at Motijheel Shapla Chattar with his speech and prayers. Consequently we decided to continue our peaceful sit-in program and told the authorities that we would vacate the Motijheel Shapla Chattar is the morning with the speech and prayers by the Amir (Leader i.e. Hazrat Allama Ahmad Shafi). We urged the government for stop attacks and killing by police and ruling party hooligans. But the law-enforcing agencies and government forces started reign of terror with further vigour even after sunset. Even in this turmoil we decided that we would in the morning end the program through prayer to Almighty Allah. We informed the administration about this intention  again and again.

 

Now it’s clear, the event born out of these unprecedented aggressive actions without heeding none of our requests and words, is well pre-planned and instigatory. It’s transparent to us, permission given to us for holding congregation at Shapla Chattar, anarchy created through attacks at the other end, ultimatum given for vacating the place through holding press briefing twice, and conducting mass killing on our congregation during night is nothing but part of the heinous conspiracy made in advance by the government.

 

The Islamic clergy community of this country is religious and peace-loving. They are committed to getting the demands as warranted by their Religious Faith and Rights fulfilled peacefully. The 13-point demand of the Hefazat-E-Islam is the demand of millions and millions of people who believe in Islam.  It’s loud and clear, demonstrated through spontaneous participation by hundreds of thousands of people in the Long-March on April 6, and Dhaka Blockade Program on May 5, that the Islamic clergy community will not rest at home until these demands met.

 

 

The government has threatened us that they would not allow us to move out of homes.  Such threat of denying people’s right to movement is unprecedented in a democratic civil society. 

 

The government has put two popular television channels off air who were telecasting live and objective  news about  Hefazat-e-Islam program.  The other media are publishing and telecasting lies, concoctions and malignant propaganda to incite hatred against us.

We want to make it known in clear terms, we do not know the consequences that will take place for the government if they do not correct their position and attitude. No government has ever been able to remain in power by force subduing aspiration of the majority of the population; this government will not too.

 

For the Islamic clergy community of this country it is not any matter of politics and political affiliation with any particular party. Our current movement is neither for putting somebody to power, nor for bringing down someone from power.

 

We want to give to the government the last chance and to say that you have martyred thousands of our people, wounded thousands and thousands of people. You yourself have perpetrated the unprovoked mass killing our people, and yet lodging cases against us. Leave this wrong path; beg pardon of the Islamic Clergy community, release the real statistics of those killed and wounded, arrange for proper burial of those killed, and arrange treatment of those wounded, and withdraw the cases.

 

A huge number of Hefazat leaders and workers have been arrested including the Secretary General of Hefazat-e-Islam, Allama Junaid Babunagari. We demand the government to immediately release all the leaders and workers of Hefazat-E-Islam including its Secretary General, drop all false cases and stop all the malignant propaganda against Hefazat. Ruling party hooligans under police protection looted and put on fire hundreds of shops of the poor people, business houses and banks alongside roads and yet are telling lies to father the allegations on Hefazat.  The truth has been exposed with picture in various media. We deeply deplore this malignant propaganda to incite hatred against Hefazat.

 

We call to the Government, please bring to book those who are actual culprits for these killings – let there be a proper unbiased judicial enquiry.  Accept our 13-point demand as early as possible; otherwise, the strong agitation brewing up in people with faith in heart cannot be subdued for long. This will flare up, devastatingly, in the whole of the country, Insha-Allah.”