১৯৫১ সালে অবিভক্ত
পাকিস্তানের সুন্নী, শীয়া, আহলে হাদীসসহ সকল দল ও মতের বিশিষ্ট আলেম সম্প্রদায় কর্তৃক
সংকলিত ও সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত ইসলামী রাষ্ট্রের
২২ দফা মূলনীতি
হজরত মওলানা ইহতেশামুল হক
থানভী (র.) কর্তৃক প্রকাশিত এবং হজরত মওলানা
আতাহার আলী (র.) সভাপতি জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম কর্তৃক প্রচারিত [মূল উর্দু হইতে
বংগানুবাদ] ১৯৫২ সাল ইং
[হযরত হাফেজ্জী হুযুর (রঃ) বলতেন, ইসলাম করার যে
ওয়াদার ভিত্তিতে পাকিস্তান কায়েম হয়েছিল তা পুরা না করা পর্যন্ত পাকিস্তানেও
শান্তি হবে না, বাংলাদেশেও শান্তি হবে না। তিনি আরোও বলতেন, ভায়ে ভায়ে সম্পত্তি ভাগ করে নিয়েছে, কিন্তু আল্লাহর কাছে কৃত ওয়াদা পূরণ করতে উভয়েই বাধ্য।]
=X=
১৯৫১ সালের ২১, ২২, ২৩ ও ২৪ জানুয়ারি
মোতাবেক ১২, ১৩, ১৪ ও ১৫ রবিউস সানী ১৩৭০ হিজরী তারিখে করাচিতে হজরত মওলানা
সৈয়দ সোলাইমান নদবী (র.)-এর সভাপতিত্বে নিখিল পাকিস্তান সর্বমত ও সর্বদলীয় ওলামায়ে
দ্বীনের এক কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত কনফারেন্সের অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে
ইসলামী শাসনতন্ত্রের যে ২২ দফা মূলনীতি গৃহীত হইয়াছে, জনসাধারণের অবগতির জন্য ও উপকারার্থে তাহা প্রকাশিত হইয়াছে।
গৃহীত ২২ দফা মূলনীতি
১. সৃষ্টিকর্তা এবং বিধানকর্তা একমাত্র আল্লাহু
রাব্বুল আলামীন।
২. রাষ্ট্রের সমস্ত আইন-কানুন কোরআন ও হাদীসের
ভিত্তির ওপর রচিত হইবে এবং এমন কোনো আইন প্রণয়ন করা যাইবে না অথবা অর্ডার বা
অর্ডিনেন্স জারী করা যাইবে না যাহা কিতাব ও সুন্নতের খেলাপ হয়।
নোট : যদি দেশে পূর্ব
হইতে কোনো আইন জারী থাকিয়া থাকে যাহা কোরআন ও হাদীসের বিরোধী, তবে পরিস্কার ভাষায় এ কথা ঘোষণা করিতে হইবে যে সেসব শরীয়ত
বিরোধী আইনসমূহ ক্রমশঃ সীমাবদ্ধ সময়ের মধ্যে যথাসম্ভব শিগগির রহিত হইবে। অথবা
শরীয়ত সঙ্গতরূপে পরিবর্তিত ও সংশোধিত আইন রচনা করিয়া জারি করিতে হইবে।
৩. রাষ্ট্র ভৌগোলিক সীমা, ভাষা, বর্ণ, বংশ বা অন্য কোনো বস্তুবাদ বা জড়বাদের ভিত্তির ওপর গঠিত বা
পরিচালিত হইবে না। বরং রাষ্ট্র হইবে আদর্শবাদী এবং আদর্শের ভিত্তি হইবে ইসলাম ও
ইসলামী ‘জীবন পদ্ধতি’।
৪. ইসলামী রাষ্ট্রের অবশ্য কর্তব্য হইবে- কিতাব
ও সুন্নতের বর্ণিত সৎ কার্যসমূহ প্রতিষ্ঠা ও জারী করা এবং কিতাব ও সুন্নতের বর্ণিত
অসৎ কার্যাবলী বিলুপ করা। ইসলামী বৈশিষ্টসমূহ সজীব ও সমুন্নত করা। মুসলমানদের
সর্ববাদী সম্মত সম্প্রদায়সমূহের জন্য তাহাদের নিজ নিজ মজহাব অনুযায়ী জরুরি ইসলামী
শিক্ষার ব্যবস্থা করা।
৫. ইসলামী রাষ্ট্রের ইহা অবশ্য কর্তব্য যে,
বিশ্বের সকল মুসলমানের ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের
বন্ধনকে দৃঢ় হইতে দৃঢ়তর করিতে চেষ্টা করা এবং রাষ্ট্রের সকল মুসলমান অধিবাসীর
মধ্যে অজ্ঞ যুগের অন্যায় নীতি- ভাষাগত, বংশগত, প্রদেশগত অন্য কোনো
কু-সংস্কারগত স্বাতন্ত্র্য আÍ প্রকাশ করার
পন্থা বন্ধ করিয়া মুসলিম জতির ঐক্যরূপ বৈশিষ্ট্য সুরক্ষিত ও সুদৃঢ় করার ব্যবস্থা
অবলম্বন করা।
৬. হুকুমতকে জাতি-ধর্ম ইত্যাদি নির্বিশেষে রাষ্ট্রে এরূপ লোকদের
মানবীয় আবশ্যক জিনিসসমূহের- খোরাক, পোশাক, বাসস্থান, চিকিৎসা, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষার জিম্মাদার হইতে হইবে, যাহারা জীবিকা অর্জনের উপযুক্ত নহে বা উপযুক্ত রহে নাই,
অথবা আকস্মিকভাবে বে-রোজগারী বা বিমারীর দরুণ
কিংবা অন্য কোনো কারণবশত বর্তমানে উপার্জনক্ষম নহে।
৭. রাষ্ট্রের সমস্ত নাগরিকের সেই সমস্ত মৌলিক
অধিকার থাকিবে, যাহা ইসলামী শরীয়ত দান
করিয়াছে। অর্থাৎ আইনের সীমার ভেতর জান-মাল ইজ্জত-হুরমতের হেফাজত, ধর্মীয় স্বাধীনতা, মজহাবের স্বাধীনতা, এবাদত ও উপাসনার
স্বাধীনতা, ব্যক্তি স্বাধীনতা,
মত প্রকাশের স্বাধীনতা, চলাচলের স্বাধীনতা, জীবিকা অর্জনের স্বাধীনতা, সভা-সমিতির
স্বাধীনতা, উন্নতির অধিকারে সমতা এবং
জনকল্যাণ প্রতিষ্ঠানসমূহ হইতে উপকার লাভের অধিকার।
৮. উপরোল্লিখিত অধিকারসমূহের মধ্যে কোন
নাগরিকের কোন অধিকার ইসলামী আইনসঙ্গত সনদ ব্যতীত কখনও হরণ করা যাইবে না। আর
কাহাকেও কোনো অপরাধের অভিযোগে নির্দোষিত প্রমাণের (ছাফাইর) সুযোগ না দিয়া এবং
আদালতের বিচার ব্যতীত কোনোরূপ শাস্তি দেওয়া যাইবে না।
৯. সর্ববাদী সম্মত মুসলিম সম্প্রদায়সমূহের
আইনের ভিতর থাকিয়া নিজ নিজ মজহাব অনুসারে চলিবার পূর্ণ স্বাধীনতা থাকিবে। সকলেই
নিজ নিজ মজহাবের লোকদিগকে আপন মজহাব অনুসারে ইসলামী শিক্ষা দিতে পরিবে। তাহারা
স্বাধীনভাবে স্বীয় মতবাদ প্রচার করিতে পারিবে। আপন মজহাবের ফিকহ্ অনুসারে নিজেদের
বিচার ব্যবস্থা পাইবার অধিকারী হইবে এবং স্ব স্ব মজহাবের বিচারক দ্বারা বিচার
ব্যবস্থা সম্পন্ন করা সঙ্গত হইবে।
১০. রাষ্ট্রের অমুসলমান নাগরিকগণ আইনের সীমার
ভিতর থাকিয়া তাহাদের ধর্ম উপাসনা, কৃষ্টি, ধর্মীয় শিক্ষা ও স্বীয় সামাজিক আচার ব্যবহারের পূর্ণ
স্বাধীনতা ভোগ করিবে। তাহারা তাহাদের ধর্মীয় প্রথা ও আইন অনুসারে তাহাদের
ব্যক্তিগত বিষয়সমূহের বিচার ব্যবস্থা পাইবার অধিকারী হইবে।
১১. অমুসলমান নাগরিকগণের সহিত শরীয়তের সীমার ভিতর
থাকিয়া যে সমস্ত অঙ্গীকার করা হইবে, তাহা পূর্ণরূপে রক্ষা করা সরকারের অবশ্য কর্তব্য হইবে। এবং সপ্তম ধারার যাবতীয়
নাগরিক অধিকারসমূহে মুসলিম ও অমুসলিম নাগরিকগণ সবই সমান অধিকার সম্পন্ন হইবে।
১২. রাষ্ট্রনেতা (আমীরে মামলোকাত) মুসলিম পুরুষ
হইতে হইবে, তাহার ছালাহিয়াত-
খোদাভীরুতা, কার্যদক্ষতা, ন্যায়পরায়ণতা এবং বিশুদ্ধ জ্ঞানসম্পন্নতা জনসাধারণ বা
তাহাদের প্রতিনিধিগণের নিকট নির্ভরযোগ্য হইতে হইবে।
১৩. রাষ্ট্রনেতাই প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্রের শৃংখলা
রক্ষার জিম্মাদার হইবেন। অবশ্য তিনি নিজ দায়িত্বের অংশবিশেষ অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য
ব্যক্তি বা জামাতকে সোপর্দ করিতে পারিবেন।
১৪. আমীরে মামলোকাতের হুকুমত-পদ্ধতি স্বৈরাচারী
হইবে না; বরং শোরাই ইসলামী আদর্শ
অনুসারে ‘পরামর্শবাদী হুকুমত’
হইবে। অর্থাৎ আমীরে মামলোকাত মন্ত্রীমণ্ডলী ও
জনসাধারণের প্রতিনিধিগণের সহিত পরামর্শ করিয়া হুকুমতের কার্য পরিচালনা করিবেন।
১৫. আমীরে মামলোকাত শাসন-তন্ত্রকে পূর্ণরূপে বা
আংশিকরূপে বাতিল করিয়া দিয়া পরামর্শ সভার বিনা পরামর্শে হুকুমাত চালাইবার অধিকারী
হইবেন না।
১৬. আমীরে মামলোকাতকে যে নির্বাচন প্রথায়
জনসাধারণের অথবা তাহাদের প্রতিনিধিগণের ভোটাধিক্যে নির্বাচন করা হইবে, তদনুরূপ ভোটাধিক্যে তাহাদের পদচ্যুত করা যাইতে পারিবে।
১৭. নাগরিক অধিকারে আমীরে মাললোকাত জনসাধারণের
সমপর্যায় ভুক্ত হইবেন। সাধারণ আইনের কবল হইতে ঊর্ধ্বে হইবেন না।
১৮. রাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ ও কর্মচারিগণ এবং সমস্ত
নাগরিকগণের জন্য একই আইন ও নিয়ম পদ্ধতি হইবে এবং সাধারণ আদালতই তাহা সকলের উপর প্রয়োগ
করিবে।
১৯. বিচার বিভাগ শাসন বিভাগ হইতে সম্পূর্ণ পৃথক
এবং স্বাধীনত হইবে, যেন বিচার বিভাগ কিছুতেই
শাসন বিভাগ দ্বারা প্রভাবান্বিত না হয়।
২০. এরূপ মতামত রাষ্ট্রের মধ্যে প্রচার করা
নিষিদ্ধ হইবে, যাহা ইসলামী রাষ্ট্রের
মূল ভিত্তির ধ্বংসের কারণ হয়।
২১. রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রদেশ ও বিভিন্ন অঞ্চল
একই রাষ্ট্রের বিভিন্ন অংশ বলিয়া বিবেচিত হইবে। বংশ, বর্ণ, ভাষা বা ভৌগোলিক
সীমারেখা হিসাবে ভিন্ন ভিন্ন খণ্ড বলিয়া বিবেচিত হইবে না। শুধু শৃংখলার সুবিধার
জন্য কতিপয় বিভাগে বিভক্ত করিয়া লওয়া হইবে। প্রদেশ এন্তেজামের সুবিধার্থে
কেন্দ্রীয় নীতির আনুগত্য বহাল রাখিয়া এই সমস্ত প্রদেশকে সুপরিচালনার ক্ষমতা সোপর্দ
করা যাইতে পারিবে; কিন্তু কেন্দ্র হইতে
বিচ্ছিন্ন হইবার অধিকার ইহাদের থাকিবে না।
২২. শাসন-তন্ত্রের এমন কোনো ব্যাখ্যা বা অর্থ
গ্রহণযোগ্য হইবে না, যাহা কোরআন ও সুন্নতের
খেলাপ হয়।
উপস্থিতি সভ্যবৃন্দ
১. মাওলানা সৈয়দ সোলায়মান নদবী সাহেব- সভাপতি।
২. মাওলানা সৈয়দ আবুল আ’লা মৌদুদী- আমীরে জামায়াতে ইসলামী, পাকিস্তান।
৩. মাওলানা শামছুল হক আফগানী- মন্ত্রী, কালাত স্টেট।
৪. মাওলানা মোহাম্মদ বদরে আলম সাহেব- ওস্তাদুল
হাদীস, দারুল উলুম ইসলামিয়া,
আশরাফাবাদ, টশুল্লাহ ইয়ার, সিন্ধু।
৫. মাওলানা ইহতেশামুল হক- মোহতামেম, দারুল উলুম ইসলামীয়া, আশরাফাবাদ, সিন্ধু।
৬. মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল হামেদ কাদেরী
বাদায়উনী- সভাপতি, জামীয়তুল উলামা, পাকিস্তান, সিন্ধু।
৭. মুফতী মোহাম্মদ শফী সাহেব- সভ্য, তা’লীমাতে ইসলাম
বোর্ড। (পাক গণপরিষদ)
৮. মাওলানা মোহাম্মদ ইদ্রিস সাহেব- শায়েখুল
জামেয়া, জামেয়া-আব্বাসিয়া,
ভাওলপুর।
৯. মাওলানা খায়ের মোহাম্মদ সাহেব- মোহ্তামেম,
মাদ্রাছা খায়রুল মাদারেছ, মুলতান শহর।
১০. মাওলানা মুফতী মোহাম্মদ হাসান সাহেব-
মোহতামেম, মাদ্রাসা আশরাফিয়া,
নীলা গোম্বাদ, লাহোর।
১১. জনাব মোহাম্মদ আমীনুল হাছনাত পীর সাহেব-
মানকী শরীফ, সীমান্ত প্রদেশ।
১২. মাওলানা মোহাম্মদ ইউসুফ বেন্নুরী- শায়তুত
তাফছীর, দারুল উলুমে ইসলামিয়া,
আশরাফাবাদ, সিন্ধু।
১৩. হাজী খাদেমুল ইসলাম মোহাম্মদ আমীর- খলীফা,
হাজী তোরঙ্গজয়ী, থানা মুজাহেদাবাদ পেশওয়ার, সীমান্ত প্রদেশ।
১৪. কাজী আবদুসসামাদ সরবাজী- কালাতের কাজী,
বেলুচীস্তান।
১৫. মাওলানা মোহাম্মদ আতহার আলী সাহেব- সভাপতি,
জমঈয়তে উলামায়ে ইসলাম, পূর্ব পাকিস্তান।
১৬. মাওলানা আবু জাফর মোহাম্মদ ছালেহ- আমীরে
জামায়াতে হিজবুল্লাহ, পূর্ব পাকিস্তান।
১৭. মাওলানা রাগেব আহসান- সহ সভাপতি, জমঈয়তে উলামায়ে ইসলাম, পূর্ব পাকিস্তান।
১৮. মাওলানা হাবিবুর রহমান- সহ সভাপতি, জমঈয়তুল মাদারেসীন, সরর্শিনা, পূর্ব পাকিস্তান।
১৯. মাওলানা মোহাম্মদ আলী জলন্ধরী- মাজলিসে
আহরারে ইসলাম, পাকিস্তান।
২০. মাওলানা দাউদ গজনবী- সভাপতি, জমঈয়তে আহলে হাদীস, পশ্চিম পাকিস্তান।
২১. মুফতী জা’ফর হোছাইন- শিয়া মোজাতাহেদ, মেম্বর, তা’লীমাতে ইসলাম বোর্ড। (পাক গণপরিষদ)
২২. মুফতী ও মোজতাহেদ হাফীজ কেফায়েত হোছাইন- শিয়া
প্রতিষ্ঠান, লাহোর।
২৩. মাওলানা মোহাম্মদ ইসলাম সাহেব- সেক্রেটারী,
জমঈয়তে আহলে হাদীস, গুজরানওয়ালা, পাকিস্তান।
২৪. মাওলানা মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ-
জামেয়ায়েদীনিয়া, দারুল হুদা, টেড়ি খয়েরপুর, মীর।
২৫. মাওলানা আহমদ আলী- আমীর আঞ্জমানে
খোদ্দামুদ্দিন, শিরানওয়ালা দরওয়াজা,
লাহোর।
২৬. মাওলানা মোহাম্মদ ছাদেক- মোহতামেম, মাজহারুল উলুম মাদ্রাসা, খাড্ডা, করাচী।
২৭. প্রফেসর আবদুল খালেক- মেম্বার তালীমাতে ইছলাম
বোর্ড। (পাক গণপরিষদ)
২৮. মাওলানা শামসুল হক ফরিদপুরি, জিঞ্জিরা জামে মসজিদ, ঢাকা।
২৯. মুফতী মোহাম্মদ ছাহেবদাদ- সিন্ধ মাদ্রাসাতুল
ইসলাম, করাচী।
৩০. মাওলানা মোহাম্মদ জাফর আহমেদ আনছারী-
সেক্রেটারি তা’লীমাতে ইসলাম বোর্ড। (পাক
গণপরিষদ)
৩১. পীর সাহেব মোহাম্মদ হাশেম মোজাদ্দেদী- টান্ডো
সায়েনদাদ, সিন্ধু।
= : সমাপ্ত : =