বেহেস্ত হক, দোযখ হক, সিরাত হক, মিজান হক,
পুনরুত্থান হক, শাফায়াত হক, রুইয়াত হক, হে আল্লাহ তুমি হক, তোমার কথা হক, তোমার
কাজ হক, বেহেস্তে তোমার সাক্ষাত হক। “কিয়ামতের মুহূর্তটি অবশ্যই আসবে, এতে কোন
প্রকারের সন্দেহের অবকাশ নাই। আর আল্লাহ সে লোকদেরকে অবশ্যই উঠাবেন যারা কবরে
অন্তর্হিত হয়েছে।।“ –(সুরা হজ্জ - ৭)
“সাবধান, তোমরা নামাজ কায়েম কর দিনের দুই
প্রান্ত সময় এবং কিছুটা রাত হওয়ার পর। আসলে ন্যায় কাজসমূহ সকল অন্যায় কাজকে দূর
করে দেয়। বস্তুতঃ ইহা এক মহা স্মারক সে লোকদের জন্য যারা আল্লাহকে স্মরণ করতে
অভ্যস্ত।“-(সুরা হুদ - ১১৪)
“এখন কি সে ব্যক্তি যার বক্ষদেশ আল্লাহ
ইসলামের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন এবং সে তার আল্লাহর নিকট হতে পাওয়া একটি আলো
অনুসারে চলছে (সে কি তার মত হতে পারে যে এসব কথা হতে কিছুমাত্র শিক্ষা গ্রহন করেনি?) ধ্বংস সে লোকদের জন্য
যাদের অন্তর আল্লাহর নছীহতে আরো অধিক শক্ত
হয়ে গেল।“-(সুরা যুমার – ২২)
“যারা ক্রোধকে হযম করে এবং অন্যান্য লোকদের
অপরাধ ক্ষমা করে দেয়, এসব নেককার লোকদের আল্লাহ খুব ভাল বাসেন।“-(সুরা আল-ইমরাণ –
১৩৪)
“ধৈর্য্য ধারণ কর, আল্লাহ নেককার লোকদের
প্রতিফল অবশ্যই বিনষ্ট করবেন না।“-(সুরা হুদ – ১১৫)
“নামাজ কায়েম কর সূর্য পশ্চিমে ঢলে পড়ার সময় হতে রাত্রির
অন্ধকার আচ্ছন্ন হোয়ার সময় পর্যন্ত। আর ফজরের ক্বোরাণ পাঠের স্থায়ী নীতি অবলম্বন
কর, কেননা ফজরের ক্বোরাণে উপস্থিত থাকা হয়।“-(সুরা বনি-ইসরাইল – ৭৮)
“এতদ সত্বেও এ লোকেরা যদি তোমার দিক হতে মুখ
ফিরায়, তবে হে নবী তাদেরকে বলুনঃ আল্লাহই
আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ছাড়া কেহই
মা’বুদ নাই। তাঁরই উপর আমি ভরসা করেছি এবং তিনিই মহান আরশের মালিক।“-(সুরা তওবা –
১২৯)
বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রা-হিমীন।।
[বুজুর্গ দরবেশ হযরত কাজী দেলোয়ার হোসেন
(রঃ)-এর মাধ্যমে প্রাপ্ত কাদেরীয়া তরিকার সাজারা শরীফের শেষাংশ]