Powered By Blogger

Friday, February 17, 2012

Press Release : 29.10.2007 ব্রিটিশ প্রশাসনের মূল লক্ষ্য বাংগালী জাতিকে বিভক্ত ও দুর্বল করে একে নিয়ন্ত্রণ করা

 
Head Office: N-70, Ashrafabad, Kamrangirchar, Dhaka-1211, Bangladesh  Ph: 7320078
International Deptt: 24/A Joar Shahara, Dhaka-1229. Ph/Fx: 9881436 E-mail: khelafat@dhaka.net

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ ঢাকা, সোমবার ২৯-১০-২০০৭
১৯৭১-এর পরে জামায়াতকে যে ব্রিটিশ প্রশাসন রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে তারাই আবার বাংগালী জাতিকে বিভক্ত ও দুর্বল করে একে নয়ন্ত্রণ করার অসত উদ্দেশ্য বাংলাদেশে ঘাতক-দালাল নির্মুল কমিটি গঠন করিয়েছে

বিবৃতিঃ
উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িকতা ও ভেদবিচারের বীজ বপন করেছিল ব্রিটিশ উপনিবেশবাদীরা। ১৯৭১-এর পরে জামাতকে যে ব্রিটিশ প্রশাসন রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে তারাই আবার বাংলাদেশে ঘাতক-দালাল নির্মুল কমিটি গঠন করেয়েছে। ব্রিটিশ প্রশাসনের মূল লক্ষ্য বাংগালী জাতিকে বিভক্ত ও দুর্বল করে একে নিয়ন্ত্রণ করা। এক্ষেত্রে জামাত এবং ঘাতক-দালাল নির্মুল কমিটি উভয়ের নেতারাই ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের ক্রিড়নক। বাংলাদেশ স্বাধীণ হওয়ার ৩৭ বছর পার হওয়ার পরেও স্বাধীণতার পক্ষ-বিপক্ষ নামে যারা জাতিকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে তারা ভাল কাজ করছেনা। জামাতের মূল সমস্যা হচ্ছে তারা অলি-আওলিয়া এবং আল্লাহপাকের প্রিয়জনদের সন্মান বোঝেনা। ফলে কোরাণ-হাদীছ চর্চ্চার নামে যে ধর্মদর্শন তারা দাঁড় করিয়েছে তা প্রকারন্তরে ধর্মের নামে ফ্যাসিজম। ইসলামী রাষ্ট্রের নামে জামাত যা চায় তা হয় ইউটোপিয়া নয়তো পুলিশ-রাষ্ট্র। তাদের এই অবাস্তব ধর্ম-দর্শনের কারণে তারা যা প্রচার করে তা তারা নিজেরাই পালন করেনা। তাদের বই পড়লে মনে হয় তারা অসাম্প্রদায়িক আদর্শবাদী। অথচ বাস্তবে জামাতের যে যত বড় নেতা সে ততবড় সাম্প্রদায়িক ও সুবিধাবাদী। জামাতের নেতৃত্ব যদি সত্যিকার ধার্মিকদের হাতে থাকত তাহলে ১৯৭১-এর ২৫শে মার্চের আগে দুই সপ্তাহ ধরে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা হস্তান্ত্রের যে দাবী তারা জানিয়ে আসছিল তা থেকে তারা বিচ্যুত হত না। পাক সেনাবাহিনীর সমর্থন পেয়ে জামাতের নেতৃত্ব ১৯৭১-এর ২৫শে মার্চের পরপরই যেভাবে ভোল পাল্টিয়েছে এবং ডিগবাজী দিয়েছে তা কোন ধার্মিক ও আদর্শবাদী মানুষের চরিত্র হতে পারেনা। ১৯৭১ সালে যারা জামাতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্র সংঘের নেতৃত্বে ছিল স্বাধীণতা-উত্তর বাংলাদেশে তাদের রাজনৈতিক নেতৃত্বে আসীন হওয়ার নৈতিক অধিকার নেই। তাদের নৈতিকতাবোধ ও লাজ-লজ্জা থাকলে সাধারণ ক্ষমা পাওয়ার পরে অবনত মস্তকে সাধারণ মানুষ হিসাবে দেশে  বসবাস করত, নেতা হওয়ার  স্বপ্ন দেখত না।

প্রকৃতপক্ষে, আল্লাহপাকের প্রিয়জন অলি-আওলিয়ারাই সম্প্রদায়-নিরপেক্ষ, ন্যায়পরায়ন ও অপরের কল্যাকামী। তাঁদের নেতৃত্বেই সত্যিকারের কল্যানরাষ্ট্র গঠন হতে পারে।

কাজী আজীজুল হক
আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন